আপনারা অনেকেই জানেন যে টিনেজ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে আবির্ভাব হয় তাঁর এবং সেখান থেকে অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে ব্রাজিল টিমকে তিনি বিশ্বমঞ্চে টানা তিন তিনটি শিরোপা জয়ী প্রথম দল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন বিশ্ব দরবারে। আপনারা কি জানেন তিনি আসলে কে? তিনি আর কেউ নন ফুটবল এর জাদুকর পেলে।
সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে পেলের অংশগ্রহণ
আপনাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে অংশগ্রহণ করেছিলেন কোন খেলোয়াড়? অনেকে রয়েছেন যারা এক কথায় উত্তর দিয়ে দেবেন যে ফুটবলের জাদুকর পেলে। আপনাদের সুবিধার জন্য বলে রাখি যে ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে যখন তিনি সুযোগ পান তখন এই তারকা ফুটবলারের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।
পেলে যখন মাত্র ১৭ বছরে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে এটি সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারের খাতায় নাম উঠে বিশ্বরেকর্ডও হয়ে যায়।
সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে শিরোপার স্বাদ অর্জন
প্রথম বিশ্বকাপের আসরে নিজের নাম লিখার পাশাপাশি বিশ্বকাপ অর্জন করা অনেক বিশাল বেপার। আর সেই কাজটি তিনি খুব ভাল ভাবেই করেছেন ১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন এই বিশ্বতারকা ফুটবলার পেলে। আর সেই সময় টিনেজ পেলের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।
পেলের অসাধারন খেলার মাধ্যমে বা পারফরম্যান্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সেবারই চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় ব্রাজিল। ফাইনালেও রানার্স আপ সুইডেনের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন পেলে।
ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল
অনেক গোলের অধিকারী ছিলেন এই বিশ্ব তারকা পেলে। তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়ে নিজে এখনও প্রতিষ্ঠিত করে রাখতে পেরেছেন। ফিফার স্বীকৃত ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছিলেন পেলে। আর পেলের পরে বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ব্রাজিলের সেনসেশন নেইমার। এই ফরোয়ার্ড করেছেন ৭১ গোল। আসলে ব্রাজিলের হয়ে খেলে পেলের অসামান্য অবদান রয়েছে ব্রাজিল টিমে।
ফিফা বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শিরোপা
ফিফা বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী হিসাবেও নিজের নামকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন ফুটবলের জাদুকর পেলে। আর এই পেলে ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৬৬ সালে টানা তিন বিশ্বকাপ জিতেছেন। যা ইতিহাসে পৃথিবীর অন্য কোনো ফুটবলারের এত বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি নেই। তাহলে আপনারা বুঝেই গেছেন যে সারা দুনিয়াতে পেলের কেনো এতো এতো ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যা রয়েছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট
জাদুকরি ফুটবলের ব্রাজিলের হয়ে মোট চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। তিনি ১৯৫৮, ৬২, ৬৬ ও ৭০ সালের বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিলেন এবং ব্রাজিলের হলুদ জার্সিতে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। এই চার বিশ্বকাপে ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই বিশ্বতারকা বা ফুটবলের রাজা পেলে। তাঁর মধ্যে ১৯৭০ সালেই তিনি মোট ছয়টি অ্যাসিস্ট করেছেন। যা এক আসরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে হ্যাটট্রিক
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে ৫-২ গোলে জেতা ম্যাচে ১৭ বছর ২৪৫ দিন বয়সে হ্যাটট্রিক করেন পেলে। যা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে হ্যাটট্রিক করার ইতিহাস।
এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে সর্বোচ্চ গোল
সান্তোসের হয়ে ১৯৫৯ সালে ১২৭ গোল করেন পেলে। যা এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে সর্বোচ্চ গোল। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান মেসির। ২০১২ সালে বার্সেলোনার হয়ে ৯১ গোল করেন এই আর্জেন্টাইন।
পেলে কত সালে মারা যায়
আশা করি আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়েছেন ফুটবলে পেলের অবস্থান সম্পর্কে। আপনি যদি এই ধরনের পোস্ট গুলো আর পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং টুইটারে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। এতে করে নতুন কোন পোস্ট পাবলিশ করার সাথে সাথে নটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
0 Comments