অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৩

অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম

বর্তমানে সকল কিছুই আধুনিক হয়েছে। আধুনিক হওয়ার ফলে ঘরে বসেই সকল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে সকল ধরনের টিকিট ঘরে বসেই কাটা যাচ্ছে। এমন কি অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অনেকেই অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার নিয়ম জানি না। 

এ কারণে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। চলুন জেনে নেই, অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে। অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম জানতে ঘরে বসেই টিকেট কাটতে পারবে।

অনলাইনের কল্যাণে মানুষের অনেক ভোগান্তি কমেছে। অতীতে বিমানের টিকিটের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। কোন কাগজের সমস্যা থাকলে টিকেট পাওয়া যেত না। 

কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই একটি ল্যাপটপ বা মোবাইল দিয়ে বিমানের টিকেট কাটা যাচ্ছে। অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার ফলে সময় কম লাগছে এবং সঠিক টিকেট কাটা যাচ্ছে।

    অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিং:

    অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিং দিতে হলে যেকোনো ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিখে সার্চ করতে হবে। বিমান বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines) এই ওয়েবসাইটে ঢোকার পর কিছু নির্দেশনা পাওয়া যাবে। 

    সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করলেই বিমানের টিকেট কাটতে পারবে। তবে সঠিক তথ্য দিতে হবে।আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে কোন দেশে বিমানে যেতে চান তাহলে কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। ডকুমেন্টগুলো হল পাসপোর্ট ও ভিসা।

    আরও পড়ুনঃ ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট করার নিয়ম / Traffic fine payment Bangladesh

    বর্তমানে করোনা ভাইরাস স্টিকার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হয়। এসব কপি জমা দিলে তারপরে টিকেট কাটতে পারবেন। তবে টিকিট কাটার আগে অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে যে কোন সময় বিমানের টিকেট কাটতে পারবে।

    অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটলে কি হয়:

    বর্তমান সময়ে মানুষ সময় নষ্ট করতে চায় না। কারণ সময়ের অনেক দাম। সবাই চেষ্টা করে যত দ্রুত সম্ভব  কাজ সম্পূর্ণ করা যায়। সেজন্য সবাই অনলাইনে এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। সকল কাজ অনলাইনে মাধ্যমেই করার চেষ্টা করছে। 

    বর্তমান সময়ে বাস থেকে শুরু করে বিমানের টিকেট সকলে অনলাইনে কাটা সম্ভব। অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটলে অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন যে কোন সময় টিকেট কাটা যায়। টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। 

    অনলাইনে টিকিট কাটলে টিকেট হারানোর ভয় থাকে না। এসব কারণে সবাই অনলাইনে টিকিট কাটা শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে অনেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে ভয় পায়। তারা মনে করে অনলাইনে টিকিট কাটলে কোন সমস্যা হতে পারে। 

    তাহলে তাদের বিমান মিস হয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে এই সমস্যা আর দেখা যায় না। তবুও অনেকে ভয় পায়। তাই অনলাইনে টিকিট কাটতে বিশ্বাস পায় না।

    আমি কি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বুকিং করতে পারি:

    বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম বিমানবন্দরে গিয়ে। বর্তমান সবকিছু আধুনিক হয়েছে। আধুনিক হওয়ার ফলে অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটা যাচ্ছে। অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে অনিকে মনে করে বিমানবন্দরে  ফ্লাইট বুকিং করতে পারবে কিনা। 

    বর্তমান সময় বিমানবন্দরে ফ্লাইট বুকিং করতে পারবে। সাথে সাথে ঘরে বসেও অনলাইনে ফ্লাইট বুকিং দিতে পারবেন। বর্তমানে দুইভাবে বুকিং দেওয়া সম্ভব। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে বুকিং দিচ্ছে। কারণ এয়ারপোর্টে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটার মত সময় কারো হাতে থাকে না।

    বিমান টিকিট ও রিজার্ভেশন কি:

    বর্তমান সময়ে এক জায়গা অন্য জায়গায় যাচ্ছে বিমানে করে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু বিমানে যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকেট বুকিং দিতে হয়। বর্তমান সময়ে অনলাইন এর মাধ্যমে টিকেট বুকিং দেওয়া যায়। 

    বিমানের টিকিট অনলাইন বুকিং দেওয়ার সিস্টেম এর কাজ করে রিজার্ভেশন। রিজার্ভেশন সিস্টেম হচ্ছে সঠিক আসন বিন্যাস ব্যবস্থা। রিজার্ভেশন সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে খুব সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অগ্রিম টিকেট বুকিং দেওয়া যায়। 

    আরও পড়ুনঃ মোবাইলে ভালো ক্যামেরা চেনার উপায়

    রিজার্ভেশন সিস্টেম কাজ করে নির্ভুলভাবে। যার কারণে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। একটি সিট কোনো ব্যাক্তি দুইবার বুকিং দিতে পারে না।

    আমি কি একই দিনে ফ্লাইট বুক করতে পারি:

    বর্তমান সময়ে মানুষের অভাব নেই। সবাই আর আমি এবং বিলাসিতা নিয়েই ব্যস্ত। বর্তমানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানের যাওয়ার জন্য বিমান ব্যবহার করে। এতে করে একখান থেকে অন্য স্থান দিতে সময় কম লাগে। খুব সহজেই যাওয়া যায়। বিমানে কোথাও যেতে হলে টিকিট কাটতে হয়। 

    অনেকে জানতে চাই, আমি কি একই দিনে ফ্লাইট বুক করতে পারি। এটা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব না। কারণ, একটি ফ্লাইট এর টিকেট অনেকদিন আগে থেকে বিক্রয় শুরু হয়। এ কারণে, অনেক সময় টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু সময় টিকেট থেকে যায়। 

    যদি টিকিট থাকে তাহলে একই দিনে রায় বুকিং করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক বিমানের টিকিট দিনের বুকিং করা যায় না। দেশের মধ্যে চলাচল করতে দিনের দিন টিকিট বুকিং দেওয়া যায়। 

    টাকা না দিয়ে কি ফ্লাইট রিজার্ভ করা যায়:

    বর্তমান সময়ে মানুষের টাকার কোন অভাব নেই। বিলাসিতার জন্য অনেক কিছুই করছে। আগে মানুষ বিয়ের জন্য বাস এবং মাইক্রো ভাড়া বা রিজার্ভ করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে মানুষ বিমান রিজার্ভ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। বর্তমানে মানুষ বিয়ের পার্টি করছে বিদেশে গিয়ে। 

    তার জন্য ফ্লাইট রেজাল্ট করে। এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে। মানুষ আগে বাস, মাইক্রো গাড়ি রিজার্ভ করত। কিন্তু সেই সময় সম্পূর্ণ টাকা দিত না। অনেকে মনে করে টাকা না দিয়ে কি ফ্লাইট রেজাল্ট করা যায়। এটা সম্পন্ন ভুল। 

    কারণ কোন এয়ারলাইন্স বাকিতে কাজ করে না। আপনি ইচ্ছা করলে ফ্লাইট রিজার্ভ করতে পারেন। তবে ফ্লাইট রিজার্ভ করলে সম্পূর্ণ পেমেন্ট আগেই করতে হবে। কিছু কিছু সময় কোন কোম্পানির এয়ারলাইন্স যদি আপনার পরিচিত হয়ে থাকে তাহলে টাকা না দিয়ে রিজার্ভ করতে পারেন।

    টিকেট বুকিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে:

    আমরা কোথাও যাওয়ার আগে টিকেট বুকিং দিয়ে থাকি। যাতে করে আমরা কোথাও যাওয়ার সময় ভোগান্তিতে না পরিড়। বর্তমান সময়ে অনলাইনে টিকিট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে টিকিট বুকিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে। কারণ, আমরা অনলাইনে টিকেট কাটি একই সময় ওই টিকেট অন্য ব্যক্তি কাটতে পারে। 

    তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হয় না কেন। অনলাইনে টিকিটের সিস্টেম কাজ করে এক্সেল সিটের মত। একটা টিকেট বুকিং হলে সেই ঘর পূরণ হয়ে যায়। ইচ্ছা করলে আর কেউ ওই টিকেট বুকিং করতে পারবে না। অটোমেটিক্স সিস্টেম চালু থাকে। 

    আরও পড়ুনঃ নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া

    এই কারণে অনলাইনে টিকিট কাটলে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় না। এবং কাউন্টারে টিকেট বুকিং দেওয়ার সময় অনলাইন টিকেট সিট দেখে বুকিং দেয়। যার ফলে যেভাবে টিকিট কাটা হোক না কেন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না।

    অনলাইন রিজার্ভেশন কি?

    যান্ত্রিক উপায়ে আসন বিন্যস্ত করার সিস্টেমকে রিজার্ভেশন বলে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিমান, বাস, রেলওয়ে এবং হোটেলের সিট অগ্রিম বুকিং দেওয়া যায়। রিজার্ভেশন সিস্টেম কাজ করে কাগজের সঠিক ভাবে আসন বিন্যাস করতে। এই সিস্টেমে আসন বিন্যস্ত করলে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় না। 

    যাতে করে খুব সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যায়। বর্তমান সময়ে সবকিছু আধুনিক হয়েছে। যার ফলে টিকেট বুকিং সিস্টেম আধুনিক হয়েছে। এই আধুনিক সিস্টেম চালু করতে কাজ করে অনলাইন রিজার্ভেশন।

    ইন্টারনেট রিজার্ভেশন এর কাজ কি?

    ইন্টারনেট রিজার্ভেশন সিস্টেম হলো ইলেকট্রনিক উপায় আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বাস, ট্রেন, বিমান এবং হোটেলের সিট বুকিং দেওয়া হয়। এ সিস্টেম কাজ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এর সিস্টেম চালু থাকলে পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে নিরাপদে ক্রিকেট সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। 

    কেউ একটি টিকেট দুইবার বুকিং দিতে পারবে না। এই কারণে বর্তমান সময়ে প্রতিটি ট্রাভেলস এবং হোটেল ব্যবসায়ীরা ইন্টারনেট রিজার্ভেশন সিস্টেম চালু করছে। যাতে করে নির্ভুলভাবে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকিট কাটতে পারছে।

    ইন্টারনেট রিজার্ভেশন সিস্টেম চালু করার ফলে কোম্পানিগুলো অনেক লাভও হচ্ছে। কারণ এতে করে কম সময়ের মধ্যে টিকেট সব বুকিং হয়ে যাচ্ছে। এবং একজন অপারেটর সকল টিকিট বিন্যস্ত করতে পারছে। 

    ইন্টারনেট রিজার্ভেশন সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে সাধারণ জনগণের অনেক সুবিধা হয়েছে। বর্তমান সময় ঘরে বসে সকল ধরনের টিকিট অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখতে পারছে। অনলাইনে টিকিট বুকিং দেওয়ার ফলে টিকিট হারানোর কোন ভয় থাকে না।

    শেষ কথা: অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম

    বর্তমান সময়ে সব কিছু আধুনিক হয়েছে। যার কারণে মানুষ হাতের নাগালে সব কিছু পাচ্ছে। যার ফলে মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে। এ কাজগুলো সহজ করেছে অনলাইন সিস্টেম। বর্তমানে অনলাইনে ঘরে বসে সকল কাজ করা যায়। 

    বিশেষ করে ঘরে বসে সকল ধরনের টিকেট বুকিং দেওয়া যায়। কিছুদিন আগেও বিমানের টিকেট কাটা অনেক কষ্টের কাজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিং দেওয়া যায়। অনলাইনে টিকিট বুকিং দেয়ার ফলে কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।

    ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানের টিকিট অগ্রিম বুকিং দেওয়া যায়। এর জন্য শুধু প্রয়োজন একটি কম্পিউটারের। তবে নিজের কম্পিউটার ছাড়াও এ কাজ করা যায়। 

    যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের কাছে গিয়ে আপনার তথ্য জমা দিলে তারাই বুকিং দিয়ে দিবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পন্ন লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    Post a Comment

    0 Comments