পেটে ইনফেকশন হলে করণীয় ২০২৩

পেটে ইনফেকশন হলে করণীয় ২০২৩

সাধারণত খাবার আর পানি থেকে পেটের ইনজেকশন হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়। পেটের ইনফেকশন প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সমস্যাটি হয় গরমের সময়। 

পেটে ইনফেকশন হলে পেট ব্যথা, পেটে জ্বালা এছাড়াও একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। এর সাথে খাবারের প্রতি অনিহা আসে। বমি বমি ভাব হয় খাবার হজম হয় না। সব সময় পেট খোলা থাকে এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হয়। 

চলুন জেনে নেই, পেটে ইনফেকশন হলে করণীয়। পেটের ইনফেকশন একটি সাধারণ রোগ। কম বেশি সকল বয়সের মানুষেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে পেট ইনফেকশন হয় খাবারের কারণে। বাহিরের ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার খেলে এই সমস্যাটি বেশি হয়।

আরও পড়ুনঃ ভেরিকোসিল কি? ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা

এছাড়াও অতিরিক্ত খাবার খেলে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। পেটে ইনফেকশন হলে সঠিক চিকিৎসা না নিলে রোগীর সংশয় থাকে। এ কারণে পেটে ইনফেকশন হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে থাকা সকলের প্রয়োজন।

    ইনফেকশন কি?

    ইনফেকশন (infection) ইংরেজি শব্দ । ইনফেকশন এর বাংলা অর্থ সংক্রামন। যখন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু শরীরে আক্রমণ করে এবং তার সংখ্যা তৎক্ষণাৎ বাড়িয়ে তুলে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে একেই ইনফেকশন বলে। 

    ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং পরজীবীর কারণে হয়। সংক্রমণ শরীরের ভিতরে ও বাহিরে হতে পারে। বেশিরভাগ ইনফেকশন হয়ে থাকে পেটে। এই ইনফেকশন হয়ে থাকে খাবারের মাধ্যমে।

    ইনফেকশন এর উপসর্গ কি কি?

    মানব দেহের বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হয়। ইনফেকশন বা  সংক্রমণ হয়ে থাকে ক্ষতস্থানে এবং পেটে। সংক্রমণের উপসর্গ সাধারণত সংক্রমণের স্থানের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবাণু আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। ইনফেকশন এর উপসর্গ গুলো তুলে ধরা হলো।

    1. পেটে সংক্রমণ হলে পেট ব্যথা করা ও পেট ফুলে উঠবে।
    2. ক্ষতস্থান হলে ক্ষতস্থান ফুলে যাবে এবং লাল হয়ে যাবে।
    3. ক্ষতস্থানে ব্যথা হবে।
    4. লাল লাল ফুসকুড়ি হবে।
    5. ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হলে জ্বর আসবে।
    6. সর্দি ও কাশি হবে।
    7. চলাফেরা করতে অসুবিধা হবে।
    8. মাথা ব্যাথা হবে।
    9. স্মৃতিশক্তি কমে যাবে।

    পেটে ইনফেকশন এর কারণ:

    প্রতিটা মানুষের কমবেশি পেটে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হয়ে থাকে। ফলে পেট ব্যথা করে। পেট ফুলে ওঠে। এবং পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি সাধারণত হয়ে থাকে খাবার সমস্যার কারণে। এছাড়াও ভাইরাস জনিত কারণে ইনফেকশন হয়ে থাকে। 

    আরও পড়ুনঃ শরীরের ত্বক ফর্সা করার উপায় 

    ইনফেকশন হলো এক ধরনের পরজীবী। যা প্রবেশ করে সংক্রমণের সৃষ্টি করে। এই সংক্রমণ গুলো ছড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে। চলুন জেনে নেই কিভাবে এবং কার মাধ্যমে ইনজেকশন ছাড়াই।

    1. ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির।
    2. মায়ের থেকে শিশুর।
    3. দূষিত খাদ্য এবং পানি থেকে।
    4. সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে।
    5. বাতাসের মাধ্যমে।
    6. ফল না ধুয়ে খেলে।
    7. বাসি খাবার খেলে।

    ইনফেকশন এর চিকিৎসা:

    ইনফেকশন বা সংক্রমণের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। সংক্রমণ জাতীয় অসুখ হলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাধারণত ইনফেকশন হয়ে থাকে পেটে। কারণ, ইনফেকশন হলে অনেক ব্যথা অনুভব হয়। বমি বমি ভাব হয় এবং পাতলা পায়। 

    বর্তমান সময়ে ইনফেকশন হলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে অতীতে সংক্রমণ জাতীয় রোগের কারণে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। বর্তমানে ইনফেকশনের খুব সহজেই চিকিৎসা করা যায়। পেটে ইনফেকশন হলে সাধারণত পাতলা পায়খানা হয়। পাতলা পায়খানা হলে খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়।

    ইনফেকশন হলে এর একমাত্র ওষুধ হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে ইনফেকশনের জীবাণু গুলো খুব সহজেই মারা যায়। তবে চিকিৎসার সময় অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স কমপ্লিট করে খেতে হবে। 

    মাঝপথে এন্টিবায়োটিকের ড্রেস কমপ্লিট না করলে সংক্রমণ নতুনভাবে সৃষ্টি হতে পারে। নতুন ভাবে সৃষ্টি সংক্রমণ খুব শক্তিশালী হয়। যার ফলে ভালো হতে অনেক সময় লাগে। যদি পাতলা পায়খানা অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই স্যালাইন ব্যবহার করতে হবে।

    পেটে ইনফেকশন হলে করণীয়:

    পেট ইনফেকশন সাধারণত হয়ে থাকে খাবারের কারণে। বাসি বা পচা খাবার খেলে পেট ইনফেকশন হয়ে থাকে। পেটে ইনফেকশন হলে পেট ব্যাথা করে এবং পেট ফুলে ওঠে। এছাড়াও পাতলা পায়খানা হয় অনেক সময় বমিও হয়ে থাকে।

    পেটে ইনফেকশন হলে চিকিৎসা করলে খুব সহজেই ভালো করা যায়। আরো অনেকেই, পেটে ইনফেকশন হলে করণীয় কি জানিনা। পেটে ইনফেকশন হলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যদি ডাক্তার আশেপাশে না থাকে তাহলে নিজে নিজেই চিকিৎসা নিতে পারেন।

    পেট ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে পেটের সংক্রমণ গুলো ধ্বংস করে। পেটে ইনফেকশন হয় সাধারণত খাবার কারণে। ইনফেকশন বা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলে অবশ্যই বাসি খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। 

    বাইরের খাবার খাওয়া যাবেনা। কারণ বাইরে খাবারে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া লাগে। খাবার সঠিক তালিকা করতে হবে তাহলে ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

    ভাইরাল ইনফেকশনের চিকিৎসা:

    বর্তমানে প্রায় ছোট বড় সকলের জ্বর -সর্দি, কাশিতে ভুগছেন। সাধারণত এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে ঋতু পরিবর্তন এর কারণে। ঋতু পরিবর্তন এর সাথে সাথে ভাইরাল ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাইরাল ইনফেকশনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

    সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জ ও প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার কারনে জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়ে থাকে। সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ে গবাদি পশু ভাইরাল ইনফেকশন হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় নিজের শক্তি ও দুর্বলতা নির্ণয়ের প্রয়োজন কেন

    Viral infication হলে সর্বপ্রথম চিকিৎসা নিতে হবে। ইনফেকশনের ওষুধ হচ্ছে এন্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়ম মেনে খেলে খুব সহজেই ভাইরাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি এন্টিবায়োটিক খেয়ে কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    অনেক সময় ইনফেকশনের কারণে রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে। তবে যতটুকু সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।

    ভাইরাল ইনফেকশন হলে ডাক্তাররা কেন এন্টিবায়োটিক দেন:

    অসুখ হলে ওষুধ খেতে হয়। বর্তমান সময়ে কিছু কিছু অসুখের চিকিৎসা নিজে নিজেই করা যায়। সাধারণ ইনফেকশন হলেও নিজে নিজেই ওষুধ খেয়ে ভালো করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন ছড়াচ্ছে। 

    এসব ইনফেকশন বা সংক্রমণ খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে। এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ইনফেকশনের একমাত্র ওষুধ এন্টিবায়োটিক। এন্টিভাইটিক ছাড়া কোনোভাবেই ইনফেকশন দূর করা যায় না। এই কারণে,  ভাইরাল ইনফেকশন হলে ডাক্তাররা কেন এন্টিবায়োটিক দেন। 

    অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এ কারণে অবশ্যই ভাইরাল ইনফেকশনের চিকিৎসা ডাক্তারের পরামর্শ মতই করতে হবে। তা না হলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। বর্তমান সময়ে সকল ধরনের ভাইরাল ইনফেকশনের চিকিৎসা হচ্ছে।

    ইনফেকশনের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ভালো:

    বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশি অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। যারা ভিন্ন ভিন্ন নামে অ্যান্টিবায়োটিক বড়ি তৈরি করছে। এবং ভিন্ন নামে বাজারজাত করছে। তবে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। 

    তবে সকল ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ইনফেকশনের কাজ করে। পেটে ইনফেকশন হলে সবচেয়ে ভালো কাজ করে সিপ্রোসিন এবং জিম্যাক্স। জিম্যাক্স এন্টিবায়োটিক বর্তমান সময়ে জ্বর সর্দির জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক এন্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে। চলুন জেনে নিন কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম:
    1. সিপ্রোসিন
    2. জিম্যাক্স
    3. অ্যামিকাসিন
    4. কানামাইসিন
    5. টোবরামাইসিন
    6. প্যারোমোমাইসিন
    7. জেলডানামাইসিন
    8. মেরোপেনেম
    9. সেফেপিম
    উপরে যেসব এন্টিবায়োটিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সবগুলোই ভালো। তবে বর্তমানে এসব ওষুধ ছাড়াও আরো অনেক এন্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে। এগুলো ওষুধের পাওয়ারের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা করা হয়। এন্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ সংক্রামন বা ইনফেকশন জাতীয় অসুখ ভালো করার।

    পেটের সমস্যার লক্ষণ:

    খাবারের ইনফেকশন এর কারণে পেটের সমস্যা হয়। পেটের সমস্যা হলে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাধারণত নিজের খাদ্য অভ্যাসের কারণে পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে সকল কিছুই ভেজাল। 

    যার কারণে সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ আমাদের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। চলুন জেনে নেই, পেটের সমস্যার লক্ষণ কি কি
    1. তলপেটে তীব্র ব্যথা।
    2. পেট ফুলে থাকা।
    3. খোদা না লাগা।
    4. বমি ভাব বা বমি হওয়া।
    5. প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা।
    6. প্রস্রাবের গন্ধ হওয়া।
    7. অতিরিক্ত পায়খানা হওয়া।
    উপরে যেসব আলোচনা করা হলো সাধারণত পেটের সমস্যার আগে এসব লক্ষণ দেখা যায়। বর্তমানে পেটের সমস্যা অধিকাংশ মানুষেরই হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কারণ ইনফেকশন।

    পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করার উপায়:

    পেটে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ সাধারণত গরমকালে হয়ে থাকে। এই সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। যার ফলে খাবারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ জাতীয় খাবার খেলে আমাদের পেটে ব্যাকটেরিয়া হয়ে থাকে। 

    যার ফলে খুব সহজে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা ইচ্ছা করলে খুব সহজে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারি। চলুন জেনে নেই, পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কে:

    1. খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
    2. বাসি খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
    3. বাইরের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
    4. অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
    5. খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
    6. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে।
    7. ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন লেবু, কমলা
    উপরে যে সব তথ্য তুলে ধরা হলো সেগুলো মেনে চললেই পেটের ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব। ব্যক্তিদের সাধারণত আক্রমণ করে আমাদের অবহেলার কারণে।

    শেষ কথা: পেটে ইনফেকশন হলে করণীয়

    আমাদের কম বেশি সকলেরই পেটে ইনফেকশন হয়ে থাকে। পেটে ইনফেকশন হয়ে থাকে খাবারের কারণে। বাসি পচা খাবার খাওয়ার হলে খাবারের সাথে ইনফেকশন ফেটে যায়। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গরমের সময় পেটে ইনফেকশন হয়। 

    কারণ, গরমের কারণে খুব কম সময়ের মধ্যে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এবং খাবারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করে। এসব খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ইনফেকশন বা সংক্রমনের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পেট ব্যথা বমি বমি ভাব ও পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। 

    এসব থেকেই ডায়রিয়া রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং পচা বাসি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    Post a Comment

    0 Comments